তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এলাকায় বোমাবাজি আহত তিন:
০৭/০৭/২০২০ প্রতিনিধিঃ আজিজুর রহমান ও আমজাদ আলী
পূর্ব বর্ধমান:- সংবাদ শিরোনামে প্রায়শই নাম আসে গলসি বিধান সভা এলাকায়। মূলতঃ একটা সময় পূর্ব বর্ধমান জেলায় শিরোনামে থাকতো কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, রায়না, খণ্ডঘোষ....কার্যতঃ রাজ্যে একসময় বামেদের আমলে লাল দুর্গ নামে পরিচিতি ছিল বর্ধমান জেলা।
উলেখ্য 2011 সালে পরিবর্তনে সিপিএম থেকে আসা কমরেডরা তৃণমূলে যোগদান করেন, কিন্তু প্রথম সারিতে থাকা তৃণমূল তা আজও মেনে নিতে পারছেন না।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত সিপিএম ও বিজেপি থেকে আগত তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে যোগদান করে বহু সংখ্যক মানুষ।
সেই মোতাবেক নব তৃণমূল ও পুরাতন তৃণমূলের সংঘাত রয়ে গেছে, কে তৃণমূল কে সিপিএম তা বোঝা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে - সেই কারণে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ আজও অব্যাহত।
গলসি ১ নং ব্লকের লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোলা গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে - গ্রামের কয়েকটি মুড়িমুড়কির মত ছোড়া হয় বোমা। ঘটনার আহত দুই পক্ষের তিনজন। তাদের মধ্যে দুইজন বর্ধমান মেড়িকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রামবাসীর সূত্রে জানা যায়, ওই পঞ্চায়েতের ঢোলা গ্রামে ডাবলু সেখের গোষ্ঠীর সাথে হেপজুল সেখের গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের বিবাদ। গত কাল সন্ধা সময় উক্তত হয় পরিস্থিতি। পাশের গ্রাম রাইপুর থেকে লোক এসে ওই বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রামে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। সংঘর্ষের কারন গ্রামদখল, পঞ্চায়েতের একশো দিনের কাজ, জেনারেল রিলিফ (জিআর) বিলি ও বালিঘাটের দখলদারি কে কেন্দ্র করেই ওই বোমাবাজি বলে জানা গেছে।
মূলত করোনা আবহে হয়তো রাজ্যের নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে কিনতু 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচন যদি হয় তাহলে কি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেমে থাকবে?নাকি লড়াই বজায় থাকবে? কি ভাবছেন গলসি বিধানসভার মানুষরা,প্রশ্নের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিস্তারিত জানার জন্য খবর দেখুন -
সঙ্গে থাকুন - এক কদম এগিয়ে থাকুন
আরো পড়ুন:
নিচের ছবির উপরে ক্লিক করুন
কালনা আদালতে সিরিয়াল কিলার
কামরুজ্জামানের ফাঁসির নির্দেশ
অপ্রীতিকর ভাইরাল ভিডিও কাটোয়া
মহকুমা হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের
0 মন্তব্যসমূহ
এইখানে কোন প্রকার স্প্যাম লিংক অথবা অপ্রীতিকর ভাষার প্রয়োগ করবেন না
Emoji